সমগ্র বাংলাদেশর সাথে আজ দ্বিতীয় দিন ১ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করলো কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশিত: ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০২৫

সমগ্র বাংলাদেশর সাথে আজ দ্বিতীয় দিন  ১ ঘন্টা  কর্মবিরতি পালন করলো কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর সকল সহকারী শিক্ষক এই কর্মসূচি পালন করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
জানা গেছে, ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা টানা কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেন। তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছেন মাঠ পর্যায়ের দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষকরা।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে আসলেও শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে বিরত থাকেন তাদের ঘোষিত কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের এক ঘন্টা। অবশ্য সকাল ১০ টা পরে শিক্ষকরা ক্লাসে গিয়ে আগের দিনের মতো আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেন।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, গতকাল থেকে শুরু হওয়া শিক্ষকদের এ কর্মসূচি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত চলবে। প্রথম দফায় তারা প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন। পরবর্তী সময়ে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী বলেন, ‘সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি, আমাদের সাথে কোনো আলোচনাও করার প্রয়োজন মনে করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাই মাতার ঘাম ঝরাই। কিন্ত সরকার আমাদের ন্যায্য দাবী মেনে নিতে চাচ্ছে না সেজন্য আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ মে পযর্ন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপর ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।

তারপরও যদি দাবি-দাওয়া না মানা হয়, তাহলে ২৬ মে থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ নেতারা।

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সভাপতি বরকত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, একটা জাতিকে সুশিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করার পেছনে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ঘাম জড়িয়ে আছে তাদেরকে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর মূল্যায়ন দেওয়া হয়েছে এর থেকে বড় বৈষম্য আর কি হতে পারে।

উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিবুর রহমান বলেন, কনসালটেন্ট কমিটির সুপারিশে আমাদের বেতন মাত্র ৩০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে যা অত্যন্ত হাস্যকর। আমাদের প্রাপ্ত সম্মানের সাথে সম্মানিটাও যেন সম্মানজনক হয় সেই দাবি করছি। আমাদেরকে যে বেতন দেওয়া হয় সেটা দিয়ে ভালো মতো বাচার কোন উপায় নেই। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
১. সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

২. ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।

৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ