মানবজমিনে প্রকাশিত সংবাদ এর মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত: ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৫

মানবজমিনে প্রকাশিত সংবাদ  এর মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম

গত ২৪ মার্চ সোমবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতায়’সিলেটের ম্যাজিকম্যান’শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও এই সিলেট সদর মৎস্য আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, শেখঘাটের সম্ভান্ত্র পরিবারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি এক প্রতিবাদলিপিতে দাবী করেন, প্রকাশিত সংবাদটি হাস্যকর ও মিথ্যা -বানোয়াট, কাল্পনিক গল্পের সম্ভার এবং নির্বাচনী প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত পক্ষপাতদোষে দুষ্ট। এ ধরনের সংবাদ মানবজমিনের মতো পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা এবং খ্যাতিমান সম্পাদক মতিউর রহমান সাহেবের সৎ-পেশাদার সাংবাদিকতার সম্পাদকীয় নীতিমালা বহির্ভূত।
প্রকৃতপক্ষে, হাজী জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করে,তার বড় ভাই ৫ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর কাছ থেকে জনপ্রতিনিধির মুকুট ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই উদ্দ্যেশ্যমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।প্রতিবাদপত্রে হাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, আমি একজন ক্যাসিনো সম্রাট। প্রকৃতপক্ষে, ওই প্রতিবেদক সিলেটের কোথাও ক্যাসিনো দেখাতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। কারণ, সিলেটের মানুষ ধর্মপ্রাণ, তারা এইসব হারাম জিনিস সমাজে কখনোই স্থান দিবেন না। রিপোর্টে বলা হয়েছে,আমার পরিবার চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলের সঙ্গে জড়িত।
আমি বলতে চাই, সিলেটে কোথাও জায়গা দখলের দলিলাদী ও চাঁদাবাজির প্রমাণাদি সংগ্রহ করে এনে দিতে পারলে ওই রিপোর্টারকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। হাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা,দাদারা ব্যবসার মাধ্যমে যে সম্পদ তৈরি করেছেন, তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও শেষ করতে পারবে না। সুতরাং আমরা কারো কাছে চাঁদাবাজি করার প্রশ্ন আসে না।
প্রতিবাদে হাজী জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, আমি ম্যাজিকম্যান। সাংবাদিকের কাছে প্রশ্ন, ম্যাজিকম্যান তাকেই বলে যে, ম্যাজিক দেখায়। আমি কোনো ম্যাজিশিয়ান নই, এই ধরনের উদ্ভট ও হাস্যকর শিরোনাম সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। কেননা, কারো ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে কক্সবাজারের ভ্রমণের ছবিসহ যা ইচ্ছা কাল্পনিক গল্প লেখার নাম সাংবাদিকতা নয়। সাংবাদিকতা হলো, প্রমাণসাপেক্ষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা। কাজিরবাজারের মাছের আড়তের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শেখঘাটের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হাজী জাহাঙ্গীর আলম দাবী করেন, তার পরিবারের আরও যারা ভাই আছেন, তারা সকলেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী,ছেলে-ভাতিজারা ভালো স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। আমার ভাই হাজী সিকন্দর আলী পাঁচবারের নির্বাচিত হওয়ায় একটি নির্বাচনী প্রতিপক্ষ গভীরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি ওই ষড়যন্ত্রের অংশ বটে। যা আমার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। হাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমি ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি,যুবদল করে ধাপে ধাপে বিএনপির রাজনীতিতে এসেছি। হুট করে দলে আসা কোনো হাইব্রিড নেতা আমি নই। আমার দলীয় যোগ্যতায় আমাকে সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এই পদ পাওয়ায় আমার এলাকার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই তারা ওই রিপোর্টারকে বায়েস্ট অথবা বিভ্রান্ত করে এরকম মনগড়া কাল্পনিক গল্পের সম্ভার সাজিয়েছে। আমি এই মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ করছি,ভবিষ্যতে আমি এ বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবেলা করতে পারি। আপাততঃ এই বানোয়াট সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকল মহলের প্রতি সবিনয় অনুরোধ করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ