ঢাকা ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৪
সিলেটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সোমবার (১১ নভেম্বর) নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। মুহিবুর রহমান পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
জানা গেছে, ওই শিক্ষক মুহিবুর রহমান একটি কোচিং সেন্টারে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ান। বুধবার (৬ নভেম্বর) ওই ছাত্রী শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান। এ সময় শিক্ষক মুহিবুর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় শিক্ষক মুহিবুর রহমানকে আসামি করে সোমবার এই মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তার মেয়েকে একটি মোবাইল নাম্বার দেয় এবং বলে যে বাসায় পৌছে ফোন দিতে। তখন তার মেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় ভাইনের ফোন নাম্বার থেকে অভিযুক্ত মুহিবুর রহমানকে ওয়াটসআপে ফোন দিলে অশালীন কথাবার্তা বলে পরদিন কোচিংয়ে যেতে বলে। ওই শিক্ষকের কথামতো স্কুল থাকায় পরদিন বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫০মিনিটের দিকে কোচিং সেন্টারে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ পাঁচ ছাত্রকে পড়াতে দেখে তার মেয়ে কোচিংয়ের পড়া অবস্থায় তিনজন ছাত্র চলে যায় অন্য দুই ছাত্র পড়তে থাকে। কিন্তু বিবাদী তার মেয়ের পড়া অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টায় ইশারে দিয়ে কােচিং রুমের বাইরে খোলা ছাদের উপর ডেকে নেয়। পরে ছাদের উপর থেকে নিচতলায় তার বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক সোফায় বসতে বলে। তখন বিবাদী তার মেয়ের সম্ভ্রম হানির চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করে ব্যর্থ হয়ে কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে। তখন সে স্কুলের দেরি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে শটকে পড়ে এবং স্কুলে গিয়ে বান্ধবীদের বিষয়টি জানায়। তখন তার বান্ধবীরা ঘটনা শুনে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানাতে বলে। প্রধান শিক্ষক তার কথা শুনে একটি লিখিত অভিযোগ রাখেন। পরবর্তি তার মেয়ে বাসায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। বাদি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি ঢাকায় অবস্থানরত তার স্বামীকে জানায়। ভিকটিমের বাবা জানতে পেরে দ্রুত ঢাকা থেকে এসে মেয়েকে নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মুহিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী পরিচয়ে কতিপয় ছাত্র ওই শিক্ষককে রক্ষায় পাঠানটুলা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে নির্দোষ দাবি করে ছাড়ানোর জন্য প্রধান শিক্ষককের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক এম ইজাজুল হক ইজাজ
অফিসঃ উত্তর বালুচর সিলেট
ফোনঃ- ০১৭১২৮৭৩৭১৫
Design and developed by AshrafTech