কয়েক মাস ধরে বন্ধ ব্রিকফ্লিড : অসহায় শ্রমিক ও ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী কাচা মিয়া

প্রকাশিত: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

কয়েক মাস  ধরে বন্ধ  ব্রিকফ্লিড : অসহায় শ্রমিক ও ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী কাচা মিয়া

সিলেটের গোলাপগঞ্জ বাঘা ইউনিয়নে মেসার্স শুকুর মিয়া ব্রিক ফিল্ডে দুই হাজার মানুষের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ব্রিক ফিল্ড বন্ধ থাকায় অসহায় সাধারণ শ্রমিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তাঁরা। কয়েক মাস ধরে মানুষের কর্মসংস্থানের বন্ধ থাকার ফলে এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থায় চরম সংকট দেখা দিয়েছে ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী কাচা মিয়ার। মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ব্রিক ফিল্ড বন্ধ থাকার ফলে শ্রমিক ও ব্যবসায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। একই সাথে বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় কয়েক সহ¯্রাধিক শ্রমিক। দুই যুগের উপরে চলমান এই ব্রিক ফিল্ড বন্ধ থাকায় বর্তমানে ওই শ্রমিকগুলো অনাহারে আর অর্ধাহারে দিনযাপন করছে।
ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী কাচা মিয়া সিলেটের নিউজ টুয়েন্টফোরকে জানান আমার ব্যবসার ব্যাংক ঋন মাথায় নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ছি। দীর্ঘদিন থেকে ব্রিক ফিল্ড বন্ধের ফলে চরম আর্থিক সংকটে পড়ছি। ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে এখন জরাজীর্ণ অবস্থা। অসহায় হয়ে পড়েছেন শ্রমিরা। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি জোড়ালো আহ্বান জানিয়ে তিনি আশা ব্যক্ত করেন প্রশাসন শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় এনে পদক্ষেপ নিবেন। শ্রমিক অধ্যুষিত বাঘা বসবাসরত মানুষের একমাত্র কর্মস্থল এই ব্রিক ফিল্ড । কাচা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।
গোলাপ গঞ্জ মজিদপুর এর বাসিন্দা মেসার্স হাজ্বী শুকুর মিয়া ব্রিকফিল্ডের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কাচা মিয়া আরও জানান বাবার প্রতিষ্ঠান এই ব্রিকফিল্ড ২০১৪ সালে আমার বাবা মারা গিয়েছেন প্রায় ২যুগ ধরে আমি উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
তিনি আরও জানান অদ্য আমি একটা জায়গা চুক্তিনামা করেছি কাগজে কলমে বৈধ্য মৌরশি-সূত্রে উক্ত জায়গার মালিক নাসির মিয়া এবং এরই মধ্যেই নাসির মিয়া আমাকে বলল এখানে একটা পুকুর বানানোর জন্য নদীর পারের জায়গা এই মহুর্তে ভেঙ্গে যায় এখন ক্ষেত করিয়া ঠিকমত চলতে পারতেছিনা আমার পুকুর দেয়ার সামর্থ নাই, আপনি যদি এই জায়গাটার মাঠি নিয়ে একটা পুকুর তৈরি করে দিতেন তাহলে আমি এখানে মাছ চাষ করে কিছু উপার্জন করে চলতে পারতাম। এই কথার উপর কাচা মিয়া তাদের সাথে একটি চুক্তি পত্র করে মাছ চাষের উপযোগী করে একটি মাছ চাষের ফিশারী পুকুর তৈরির জন্য কাজে হাত দেন। প্রায় ৩ফুট মাটি কাটার পর গোলাপগঞ্জ থানার এ্যাসিল্যান্ড তসিলদার আসিয়া কাজটা বন্ধ করে দেন। কিছু কুচক্র মহল প্রশাসনকে ভূল বুজিয়ে হয়রানীর হচ্ছেন কাচা মিয়া। গত ৫ই আগস্টের পর ৭ই আগষ্ঠ সন্ধায় একদল এসে বলল আমাদের যদি টাকা ৫লক্ষ দেন তাহলে আপনি শান্তি তে নিরাপদে ব্যবসা করিতে পারিবেন । এটা এলাকার সবাই জানে । এদের এলাকার মানুষ ধরতে চাইলে ওরা গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায় যা ধরা সম্ভব হয়নি।এর পর থেকে আমার উপর নির্যাতন চলছে। আমি সরকারিভাবে সব দিকে বৈধ সরকারের টেক্স, ভ্যাট,রিটার্ন ও দিয়ে আসছি এর পরেও আমি নিরাপদে নাই। আমি হয়তো ব্যবসা বন্ধ করে দিলাম আমি কোনরকম চলতে পারব কিন্তু এইযে দুইশ,তিনশ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান তিনশ মানুষের সাথে আরও দুইহাজার সদস্য সম্পৃক্ত আছে। তারা ছয় মাস কাজ করলে একবছর চলতে পারে এটা একটা সিজনেল ব্যবসা। এই মুহুর্থে শ্রমিকদের অগ্রিম দেয়া আছে কাজ বন্ধ থাকায় ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই আমি ক্ষতিগ্রস্থ। জায়গার মালিক নাসির উদ্দিন বলেন কাগজে পত্রে আমরা দুভাই বৈধ মালিক আমাদের সামর্থ নাই যে,পুকুর তৈরি করার। পুকুর খনন করার জন্য আমরা চুক্তির মাধ্যমে কাচা মিয়াকে জায়গা দেই। আমাদের আর পুকুর তৈরি করা সম্ভব হয়নি। নাসির ও কাচা মিয়ার আকুল আবেদন নির্যাতন বন্ধের ও ব্যবসার সুযোগ করে শ্রমিকদের কাজ করার প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের উর্ধ্বতন মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ